মঙ্গলবার ● ৫ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » ডিজিটাল বাংলা » ‘শিক্ষার্থীদের জন্য ই-সচেতনতা’ বিষয়ক মতবিনিময় সভা
‘শিক্ষার্থীদের জন্য ই-সচেতনতা’ বিষয়ক মতবিনিময় সভা
শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেটে সুরক্ষিত পদচারণার জন্য প্রয়োজন সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা। ডিনেট, আইসিটি ডিভিশনসহ বিভিন্ন অংশীদারকে সঙ্গে নিয়ে শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেটে সুরক্ষিত থাকার লক্ষ্যে একটি গাইডলাইন তৈরি করছে।
এ লক্ষ্যে সোমবার ডিনেট কার্যালয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ‘শিক্ষার্থীদের জন্য ই-সচেতনতা’ বিযয়ে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় অংশ নেন আইসিটি ডিভিশন, বেসিস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, সমকাল, গুগল ডেভেলপার গ্রুপ ক্লাউড বাংলা, গণসাক্ষরতা অভিযান এবং ফানুস প্রাইভেট লিমিটেড থেকে প্রতিনিধিরা।
এ সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান।
বিষয় বিশেষজ্ঞ হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন আইসিটি ডিভিশনের অতিরিক্ত সচিব মো. খাইরুল আমিন, বেসিস-এর সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল-এর শিক্ষক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ, ডিনেট প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম সিরাজুল হোসেনসহ আরও অনেকে।
সভায় শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট সচেতনতা, নানা ধরনের বিষয় সম্পর্কে সতর্কতা এবং সচেতনতা গড়ে তোলার বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
অতিরিক্ত সচিব মো. খাইরুল আমিন বলেন, ইন্টারনেটের দুনিয়াতে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন অপরাধ থেকে রক্ষার এই উদ্যোগে আইসিটি ডিভিশন সর্বোচ্চ সহায়তা প্রদান করবে।
বেসিস-এর সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, ইন্টারনেট সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেটে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করা শিখতে হবে এবং কিভাবে সঠিক তথ্য অনলাইন থেকে বের করতে হয় সে ব্যাপারে জানতে হবে।
সহনশীলতার পথে প্রজেক্টের সহযোগিতায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ই-সচেতনতা’ বিষয়ে এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন করছে। এই প্রকল্পটির মাধ্যমে ডিনেট শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সচেতনতা গড়ে তোলার জন্য নিম্নলিখিত কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে:
১. নবীন শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেটে সুরক্ষিত থাকার জন্য প্রয়োজনীয় বিযয়ের উপর একটি গাইডলাইন প্রস্তুতকরণ।
২. ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী জেলার ১০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার বিষয়ক প্রশিক্ষণ।
৩. শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার বিষয়ে অনলাইনে একটি ই-শিখন ওয়েব পোর্টাল/প্ল্যাটফর্ম প্রস্তুত করা।
৪. শিক্ষার্থীদের সচেতন করার জন্য একটি ২০ সিরিজের ইন্টারনেট কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা।
৫. প্রশিক্ষণ ও কুইজে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের নিয়ে ঢাকায় বাংলাদেশের প্রথম নিরাপদ ইন্টারনেট বিষয়ে একটি অলিম্পিয়াড আয়োজন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।