রবিবার ● ২০ অক্টোবর ২০১৯
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » প্রথমবারের মতো মহাকাশ অভিযানে অংশ নিয়েছে নারী নভোচারীদের একটি দল
প্রথমবারের মতো মহাকাশ অভিযানে অংশ নিয়েছে নারী নভোচারীদের একটি দল
প্রথমবারের মতো মহাকাশে অভিযানে অংশ নিয়েছে শুধুমাত্র নারী নভোচারীদের একটি দল। ওই মিশনে অংশ নিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন দুই নভোচারী ক্রিস্টিনা কখ এবং জেসিকা মায়ার।
বিকল হয়ে যাওয়া একটি পাওয়ার কন্ট্রোল ইউনিট প্রতিস্থাপন করতে গিয়ে তারা আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের বাইরে সাত ঘণ্টা সময় কাটিয়েছেন। এর আগে আরও চারবার মহাকাশে হেঁটেছেন ক্রিস্টিনা। তবে, মায়ারের জন্য এটাই ছিল প্রথম মহাকাশ মিশন।
নাসা জানিয়েছে, জেসিকা মায়ার হলেন মহাকাশে অভিযানে অংশ নেয়া ১৫তম নারী। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভিডিও কলে এই দুই নভোচারীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই দুই নভোচারীকে সাহসী ও মেধাবী নারী বলে উল্লেখ করেছেন।
ক্রিস্টিনা একজন ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ার। আর মায়ার মেরিন বায়োলজিতে ডক্টরেট করেছেন। শুক্রবার গ্রিনিচ সময় বেলা ১১টা ৩৮ মিনিটে তারা আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের বাইরে যান।
এ সময়ে তাদের গায়ে ছিল নাসার স্পেসস্যুট। এই দুই নভোচারীর হাঁটার গন্তব্য ছিল আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের পোর্ট-৬ ট্রাস স্ট্রাকচার নামক একটি স্থানে। সেখানে পৌঁছে তারা ব্যাটারি চার্জ-ডিসচার্জ ইউনিট (বিসিডিইউ) প্রতিস্থাপন করেছেন।
প্রতিস্থাপন শেষ করে তারা বিকল হয়ে যাওয়া সেই যন্ত্রাংশ নিয়ে ফিরে আসেন। দুই নারী নভোচারীর এই মহাকাশ-যাত্রাকে ঐতিহাসিক ঘটনার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেটিক দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কামালা হ্যারিস।
এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো শুধু নারী নভোচারীদের একটি দল মহাকাশে হাঁটলেন। এটি কেবল একটি ঐতিহাসিক ঘটনাই নয় নারীরা যে আকাশকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে, এই ঘটনা তাই মনে করিয়ে দিচ্ছে।
গত মার্চে নাসা এক ঘোষণায় জানিয়েছিল যে, এই প্রথম শুধু নারীদের দিয়ে গঠিত একটি দল মহাকাশ যাত্রায় যাচ্ছে। সেই দলে ক্রিস্টিনা ও তার সহকর্মী অ্যানি ম্যাকক্লেইনের নাম ঘোষণা করা হয়।
কিন্তু তখন সেই মিশন স্থগিত করা হয়েছিল। কারণ ম্যাকক্লেইনের গায়ের উপযোগী মধ্যম আকৃতির মহাকাশ-স্যুট পাওয়া যাচ্ছিলো না।
গত মঙ্গলবার নাসা নতুন এক ধরনের স্পেস স্যুট ঘোষণা করে। পৃথিবী থেকে চাঁদে পরবর্তী যে মিশনটি যাবে, সেটির নভোচারীরা হয়তো নতুন এই স্পেস স্যুট পরার সুযোগ পাবেন।
নাসা বলছে, নতুন এই স্পেস স্যুট এমনভাবেই নকশা করা হয়েছে যে, এটি যে নভোচারী পড়বেন তার আকার বা আকৃতি নিয়ে ভাবতে হবে না। কারণ ব্যক্তির গায়ের গড়ন যাই হোক না কেন, নতুন এই পোশাকে রয়েছে নভোচারীর শরীরের সাথে প্রয়োজন-মাফিক কাস্টমাইজড করে নেয়ার সুবিধা।