বুধবার ● ২ অক্টোবর ২০১৯
প্রথম পাতা » ডিজিটাল বাংলা » বিজেট সনদ পেলেন ৩৫ শিক্ষার্থী
বিজেট সনদ পেলেন ৩৫ শিক্ষার্থী
বাংলাদেশ-জাপান আইসিটি ইঞ্জিনিয়ার্স ট্রেনিং প্রোগ্রাম বিজেট সনদ পেলেন ৩৫ জন শিক্ষার্থী। প্রোগ্রামের ষষ্ঠ আয়োজনে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অংশ নেওয়া ৪০ জনের মধ্যে সফলভাবে সনদ পেলেন এ ৩৫ জন।
বুধবার (২ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে ওই শিক্ষার্থীদের আনুষ্ঠানিকভাবে সনদ তুলে দেওয়া হয় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) পক্ষ থেকে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী (আইসিটি) জুনাইদ আহমেদ পলক প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সনদ বিতরণ করেন।
এসময় জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, জাপানি জনগণের সঙ্গে কাজ করার এ সুযোগ আমাদের তরুণদের জন্য দারুণ অভিজ্ঞতা হবে। জাপানিরা শান্তিপ্রিয়, নিয়মানুবর্তিতা এবং নিখুঁত বলে বিশ্বের সুপরিচিত। সেখানে কাজের সুবিধা হবে দারুণ। আপনারাই হবেন জাপানে বাংলাদেশের দূত। তাই সেখানে আপনারা ভালোভাবে এবং পূর্ণ পেশাদারিত্ব নিয়ে কাজ করবেন।
‘আপনারা যখন জাপানে কাজ করবেন তখন চারটি বিষয় আপনাদের কাজের মধ্যে দিয়ে ফুটে উঠবে আশা করি। সেগুলো হল- ভালোবাসা, সম্মান, দায়িত্ববোধ এবং সময়ানুবর্তিতা। আমাদের দেশে প্রতি বছর ২০ লাখ গ্রাজুয়েট বের হয়। জাপানে প্রতিবছর প্রায় দুই লাখ আইটি প্রফেশনাল দরকার। আমরা আশা করি সেখানে অবদান রাখতে পারব।’
জাইকা বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ হিতশি হিরাতা বলেন, বিজেট প্রোগ্রাম বাংলাদেশ ও জাপান এবং দুই দেশের মানুষের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের এক দারুণ উদাহরণ। ভবিষ্যতে এটি আরও দৃঢ় হবে বলে আমাদের আশাবাদ।
ঢাকাস্থ জাপান দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত চার্জ দ্যা এফেয়ার্স ইয়াসুহারু শিনত বলেন, জাপানে কর্মক্ষম লোক কমে যাচ্ছে। তাই আশেপাশের দেশ থেকে শ্রমিক আনা হচ্ছে। বাংলাদেশের বিজেট থেকে এর আগে পাঁচটি ব্যাচ জাপানে গিয়েছে। সেখানে তাদের কাজের সুনাম ও প্রশংসা শুনছি আমরা। বাংলাদেশের সঙ্গে জাপানের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে। এ সময়ে জাপান বাংলাদেশের জন্য শুধু দাতা রাষ্ট্র ছিল না বরং পার্টনার। বাংলাদেশের জন্য জাপান এবং জাপানের জন্য বাংলাদেশের দরকার এমন সম্পর্ক ভবিষ্যতে আমাদের মধ্যে হবে বলে আশা করি।
জাইকা ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে জাপানিজ আইটি সেক্টরের উপযোগী করে আইটি ইঞ্জিনিয়ারের দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পটি চলবে ২০২১ সাল পর্যন্ত। তারই অংশ হিসেবে প্রকল্পের আওতায় জাপানি ভাষা, জাপানি বিজনেস কালচার এবং আইডির ওপর তিন মাস মেয়াদি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এর আগের পাঁচটি ব্যাচে ১৫৬ জন শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। যাদের মধ্যে ১১৩ জনের জাপানে এবং বাকি ৪৩ জনের দেশেই কর্মসংস্থান হয়েছে। এবারের ৩৫ জনের মধ্যে ছয় জনের ইতোমধ্যে জাপানে কর্মসংস্থান নিশ্চিত হয়েছে। আর বাকি ২৯ জনের কর্মসংস্থানের প্রক্রিয়া চলমান। গত ৩০ জুন থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত এ ব্যাচের প্রশিক্ষণ পরিচালিত হয়।