মঙ্গলবার ● ১ অক্টোবর ২০১৯
প্রথম পাতা » ডিজিটাল বাংলা » ফাইভ-জি মোবাইল যুগে এগিয়ে যাচ্ছে দেশঃ মোস্তাফা জব্বার
ফাইভ-জি মোবাইল যুগে এগিয়ে যাচ্ছে দেশঃ মোস্তাফা জব্বার
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও মানুষের স্বাচ্ছ্যন্দের বিষয় সামনে রেখে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে যাচ্ছে। ফোর-জি নেটওয়ার্ক থেকে এখন ফাইভ-জির নেটওয়ার্কে দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। ফাইভ-জি (পঞ্চম প্রজন্মের) মোবাইল ফোন সেবা চালুর জন্য নীতিমালা তৈরি ও সার্বিক প্রস্তুতির কাজ চলছে। জানুয়ারি নাগাদ ফাইভ-জি নীতিমালা চূড়ান্ত করা হবে। সোমবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে কমনওয়েলথ টেলিযোগাযোগ সংস্থার (সিটিও) ৫৯তম কাউন্সিল সভা ও বার্ষিক ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এ কথা বলেন।
সম্মেলনে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর কর্মকর্তা ছাড়াও বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী, সচিব, রেগুলেটর প্রধান, সরকারী, বেসরকারী সংস্থার কর্মকর্তাসহ টেলিকম ও তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞসহ আড়াই শ’র বেশি প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন। ‘টুওয়ার্ডস এ ডিজিটাল কমনওয়েলথ’ প্রতিপাদ্যে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত ঢাকায় দ্বিতীয়বারের মতো এই সম্মেলন চলবে। এবারের সম্মেলনে ফাইভ-জি ও সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে ১৫টি সেশন থাকবে।
সম্মেলনে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহ, কমনওয়েলথ টেলিযোগাযোগ সংস্থার ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব গিসা ফুয়াতাই পারসেল, বিটিআরসি চেয়ারম্যান মোঃ জহুরুল হক, টেলিযোগাযোগ সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, থ্রি-জি ও ফোর-জি প্রযুক্তি দিয়ে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব সম্ভব হবে না। এখন সময় এসেছে ফাইভ-জি চালু করা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক চালু হয়েছে অনেক আগেই। দক্ষিণ কোরিয়া, আয়ারল্যান্ড, স্পেন, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়ায় এই প্রযুক্তির ব্যবহার চলছে। এ প্রযুক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ‘ইন্টারনেট অব থিঙ্কস- আইওটি’, যেখানে যন্ত্র থেকে যন্ত্রে যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসগুলোকেও গ্রাহক হিসেবে বিবেচনা করা হবে। বাংলাদেশেও ফাইভ-জি সেবা চালু করতে গত ৪ অগাস্ট একটি কমিটি গঠন করে বিটিআরসি। সরকার, বিটিআরসি ও অপারেটরগুলোর প্রতিনিধি নিয়ে গঠিত ওই কমিটি আগামী জানুয়ারির মধ্যেই একটি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা তৈরি করতে পারবে বলে আশা করছি। ফাইভ-জি’র জন্য স্পেকট্রাম ব্যবস্থাপনা, সাইবার নিরাপত্তা, ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য ব্রডব্যান্ড পরিকল্পনা, বৈশ্বিক সেবা তহবিলের পরিবর্তিত ধরন, ওভার দ্য টপ সেবাসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে এবারের বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হবে।