রবিবার ● ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » ডিজিটাল বাংলা » গার্র্র্র্মেন্টস কর্র্র্র্মীদের জন্য চালু হচ্ছে ডিজিটাল ওয়ালেট
গার্র্র্র্মেন্টস কর্র্র্র্মীদের জন্য চালু হচ্ছে ডিজিটাল ওয়ালেট
গার্মেন্টস কর্মীদের ডিজিটাল পদ্ধতির আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। তাদের জন্য চালু করা হয়েছে ‘ডিজিটাল ওয়ালেট’। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে কর্মীদের বিভিন্ন ধরনের সুবিধা দেয়া হবে। সম্প্রতি আরএমজি ডিজিটাল ওয়ালেটের (ই-ওয়ালেট) নামে বিজিএমইএ প্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির মাধ্যমে পোশাক কর্মীরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে মজুরিও পাবেন। প্রাথমিকভাবে এই পদ্ধতি স্বল্প পরিসরে চালু করা (পাইলট প্রকল্প) হয়েছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে সারাদেশে ই-ওয়ালেটকে বড় পরিসরে নিয়ে যাওয়া হবে।
তথ্যপ্রযুক্তি জানিয়েছে, গার্মেন্টস শিল্প কর্মীরা দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রেখে চলেছেন। তাদেরও তথ্যপ্রযুক্তির মধ্যে নিয়ে আসার জন্য এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তারাও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ের সঙ্গে যুক্ত হবেন। পোশাক মালিকদের পক্ষ থেকে এমন একটি উদ্যোগ পোশাক শিল্প কর্মীদের বড় ধরনের সুবিধা তৈরি করবে। তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছে তৈরি পোশাক শিল্প খাত, যা বর্তমান সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। তাই পোশাক শিল্পকে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়ার ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ সব সময় সচেষ্ট রয়েছে। স্বল্প পরিসরে পোশাক শিল্পে ই-ওয়ালেট চালু হয়েছে। তবে আগামী তিন মাসের মধ্যে ই-ওয়ালেটকে বড় পরিসরে নিয়ে যাওয়া হবে। দেশে প্রায় ৫০ লাখ গার্মেন্টস কর্মী কাজ করছেন। প্রতিজন কর্মীই এই সুবিধার আওতায় আসবে।
বিষয়টি নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বাংলাদেশের ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ও প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের তত্ত্বাবধানে ডিজিটাল প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন করা হচ্ছে। সরকারের ভিশন-২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার কাজ করে যাচ্ছে সরকার। সরকারের গৃহীত কার্যকরী উদ্যোগের ফলে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন পৌরসভা ও ইউনিয়নে ৫ হাজারের বেশি ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। এ সব সেন্টার থেকে জনগণ ২০০ রকমের সেবা পাচ্ছেন। ডিজিটাল পদ্ধতিতে বেতন প্রদান করা হলে পোশাক শিল্প কর্মীদের বেতনে স্বচ্ছতা আসবে। এমনকি তাদের কেনাকাটাসহ আর্থিক লেনদেন সহজ হবে। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার স্থাপনের ফলে সাধারণ নাগরিকগণ এখন সহজে, কম খরচে ও ঝামেলাহীনভাবে জমির পর্চা, জীবন বীমা, পল্লী বিদ্যুতের বিল পরিশোধ, সরকারী ফরম, পাবলিক পরীক্ষার ফল, অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, অনলাইন জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, ভিজিএফ-ভিজিডি তালিকা, নাগরিক সনদ, নাগরিক আবেদন, কৃষি তথ্য, স্বাস্থ্য পরামর্শসহ প্রায় ২০০ ধরনের সরকারী-বেসরকারী সেবা ইউডিসি থেকে পাচ্ছে। মানুষের হাতের মুঠোয় বিভিন্ন তথ্য ও সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য মোবাইল এ্যাপ্লিকেশন উদ্যোগ গ্রহণ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা, বিভাগ ও অধিদফতরের তথ্য ও সেবার মোবাইল এ্যাপ্লিকেশন তৈরির লক্ষ্যে আইডিয়া জেনারেশন ওয়ার্কশপ চলছে। এসব আইডিয়ার মধ্য থেকে তৈরি করা হয়েছে ৬০০ মোবাইল এ্যাপ্লিকেশন।
তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ বলেছে, কানেক্টিভিটি প্রতিষ্ঠার ফলে সরকারী সেবা প্রদান করা সহজ হয়েছে। আইসিটি অবকাঠামো গড়ে তোলার অংশ হিসেবে জেলা ও উপজেলা পর্যন্ত কানেক্টিভিটি সম্প্রসারণ করা হয়েছে। বাংলাগভনেট প্রকল্পের আওতায় ৫৮টি মন্ত্রণালয়, ২২৭টি অধিদফতর, ৬৪ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও ৬৪টি নির্বাচিত উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় একই নেটওয়ার্কের আওতায় চলে এসেছে। ইনফো সরকার-২ প্রকল্পের জেলা ও উপজেলার ১৮ হাজার ১৩০টি সরকারী অফিসের কানেক্টিভিটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ৮ শ’ ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে। বিসিসি ভবন ও বাংলাদেশ সচিবালয় এসেছে ওয়াই-ফাইর আওতায়।
বিগত দিনগুলোতে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অভিযাত্রায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অভূতপূর্ব সম্প্রসারণ ঘটেছে। প্রযুক্তিভিত্তিক তথ্য ও সেবা পৌঁছে দেয়া হয়েছে মানুষের দোরগোড়ায়। এখন দেশের মানুষ ঘরে বসেই প্রযুক্তির সুবিধা নিতে পারছেন। এমনকি তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষ ঘরে বসেই বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছেন। তথ্যপ্রযুক্তির যত রকমের সুবিধা রয়েছে তার সব কিছু দেশের মানুষের হাতে পৌছে দেয়া হবে। গার্মেন্টস সেক্টরে প্রাথমিকভাবে তথ্যপ্রযুক্তি ছোয়া লেগেছে। ধীরে ধীরে সব সেক্টরেই তথ্যপ্রযুক্তির আওতায় চলে আসবে।