মঙ্গলবার ● ১৯ জুন ২০১২
প্রথম পাতা » ডিজিটাল বাংলা » তিন বছরে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৮.০৭ শতাংশ বৃদ্ধি
তিন বছরে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৮.০৭ শতাংশ বৃদ্ধি
বিগত তিন বছরে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ১৮.০৭ শতাংশ। এর আগে এ হার ছিল ৩.২ শতাংশ। দেশে ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা ৩.০১ কোটিতে উন্নীত হওয়ায় এর ব্যবহারকারীর হার দাঁড়িয়েছে ২১.২৭ শতাংশ। ২০১২-১৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পেশকৃত ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে অগ্রযাত্রা নামের একটি হালচিত্র প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেলে রপ্তানী ৪.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। বাংলাদেশ সরকার আশা করছে, উচ্চগতি স¤পন্ন ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে ২০২০ সাল নাগাদ এ ক্ষেত্রে ৪ লাখ নতুন ব্যবসা এবং ১ লাখ ২৯ হাজার নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। তখন শুধু এ খাত থেকেই বাংলাদেশের জিডিপি অতিরিক্ত ২.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে ২০২১ সালের মধ্যে শুধু তথ্যপ্রযুক্তি খাত থেকে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি অতিরিক্ত ৭.২৮ শতাংশ বাড়বে।
প্রতিবেদনের বিভিন্ন তথ্যে উল্লেখ করা হয়েছে ইন্টারনেট, টেলিডেনসিটি ও ব্রডব্যান্ডের সম্প্রসারণের ফলে ২০২১ সাল নাগাদ এ খাত থেকেই ৭ থেকে ৮ শতাংশ অতিরিক্ত প্রবৃদ্ধি সম্ভব। সরকার তথ্য প্রযুক্তির দিকে ঝোঁকার ফলে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের আইটি শিল্প ৩০০ মিলিয়ন ইউএস ডলারের বাজার সৃষ্টি করেছে এবং তাতে ৫০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। এক গবেষণা তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনে উল্লে¬খ করা হয়েছে, উন্নয়নশীল দেশে সংযোগ সম্প্রসারণ বিশেষত টেলিডেনসিটি ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেলে জিডিপি ০.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। ২০০৯ সালে দেশের টেলিডেনসিটি ছিল ৩০ শতাংশের মত। বর্তমানে টেলিডেনসিটি দাঁড়িয়েছে ৬১.৩ শতাংশে।
অর্থাৎ বিগত ৩ বছরে টেলিকম গ্রাহক সংখ্যাও ৪.৬ কোটি থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৮.৮৮ কোটি হয়েছে। সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার করে ২০১৫ সালের মধ্যে টেলিডেনসিটি ৭০ শতাংশে এবং ২০২১ সালের মধ্যে ৯০ শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে এবং এর ফলে জিডিপি ২০১৫ সালে অতিরিক্ত ২.১ শতাংশ এবং ২০২১ সালে ৩.৩ শতাংশ বৃদ্ধির আশাবাদ ব্যক্ত করে। এদিকে বিশ্বব্যাংক এক হিসাবে বলেছে, বাংলাদেশের টেলিডেনসিটি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ৮০ শতাংশে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লে¬খ রয়েছে এ সময়ে ব্রডব্যান্ড পেনিট্রেশন ১০ শতাংশ হলে তা জিডিপি প্রবৃদ্ধিকে আরও ১.৩৮ শতাংশ বৃদ্ধি করবে। অর্থাৎ ইন্টারনেট খাত থেকে ২.৬ শতাংশ, টেলিডেনসিটি খাত থেকে ৩.৩ শতাংশ এবং ব্রডব্যান্ড খাত থেকে ১.৩৮ শতাংশ অতিরিক্ত জিডিপি প্রবৃদ্ধি হলে ২০২১ সাল নাগাদ তথ্য প্রযুক্তি খাত থেকেই অতিরিক্ত ৭.২৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বাংলাদেশের।